ইতিহাস ও নামকরণ
১৩৩৮ সালের ১লা জানুয়ারি সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ এর নেতৃত্বে বাংলা স্বাধীন সালতানাদ দিল্লি সালতানাদ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৩৩৮সালে তিনি ফেনী ও চট্টগ্রাম অধিকার করে এ অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তার বংশধর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ, তার ছেলে নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ ও গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের আমলে পরাগল খাঁ ও তার ছোট ভাই ছুটি খাঁ এ অঞ্চলের শাসনকর্তা ছিলেন। এর পরে সুরি সম্রাট শেরশাহের ভাই নিজাম শাহ এখানকার শাসনকর্তা ছিলেন। তাঁর নামানুসারে নিজামপুর পরগণার নামকরণ হয় এবং সমগ্র মীরসরাই এলাকা, ছাগলনাইয়া এলাকা ও ফেনী এলাকা নিজামপুর পরগণার অন্তর্ভুক্ত হয়। ষোড়শ শতকের শুরু থেকে এই অঞ্চল বাংলা সাহিত্যচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিলো। ১৫৮০ থেকে ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকাংশ সময় এই অঞ্চল আরাকানীদের শাসনে ছিলো। সুবেদার শায়েস্তা খাঁ এর পুত্র বুজুর্গ উমেদ খাঁ ফেনী নদী পার হয়ে বর্তমান মীরসরাই থানার যে স্থানে সৈন্যদল নিয়ে অবতরণ করেন, সে স্থানের নামকরণ হয় বুজুর্গ উমেদনগর। তাঁর চট্টগ্রাম বিজয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চল স্থায়ীভাবে মুঘলদের শাসনে চলে যায়। ইংরেজ শাসনামলের শেষ দিকে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের তৎপরতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল মীরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ও করেরহাট এলাকা।বর্তমান মীরসরাই এলাকায় মোগল আমলে একটি সামরিক ঘাঁটি ছিল। ঘাঁটিটি মেহমান সরাই নামে পরিচিত। সেখানে মীর সাহেব নামে এক মুসলিম সৈনিক মারা যায়। তাঁর নামে এই থানার নামকরণ মীরের সরাই বা মীরসরাই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয় ।