•  মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি
  •  ছুটি খাঁ জামে মসজিদ                                                                                                           
  • নয় দুয়ার মসজিদ
  • পরাগল খান মসজিদ ও দিঘি

মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি

মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের মঘাদিয়া গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।কার দ্বারা এবং কবে নাগাদ এই জমিদার বাড়ি এবং বংশটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ইতিহাস থেকে এই জমিদার বংশের বেশ কয়েকজনের নাম জানা যায়। এই জমিদার বংশধররা ছিলেন ইসলাম ধর্মালম্বী। এই জমিদার বংশের সবচেয়ে পরিচিত জমিদার ছিলেন জমিদার নুরুল আবছার চৌধুরী। তিনি ১৮৯৫ইং সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এই জমিদার বংশের শেষ জমিদার। তিনি খুব অল্প বয়সেই জমিদারীর দায়িত্ব পান। কারণ তার পিতা জমিদার অলি আহম্মদ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর তার বড় ভাই জমিদার আব্দুল হাই চৌধুরী জমিদারী দেখাশুনা করতেন। কিন্তু তিনি মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মারা যান। আর এতেই তার উপর এই জমিদারীর দায়িত্ব এসে পড়ে। তবে তিনি দয়ালু, সততা ও ন্যায়ের সাথে জমিদারী পরিচালনা করাতে প্রজাদের কাছে অতি তাড়াতাড়ি পরিচিত হয়ে উঠেন। তিনি অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন।

ছুটি খাঁ জামে মসজিদ

ছুটি খাঁ মসজিদ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাইর একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও প্রতি শুক্রবার জুমার দিন এবং দুই ঈদের দিন এখানে দেশ বিদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাগম ঘটে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্যতম এই প্রাচীন মসজিদ দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে সারা বছর বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম ঘটে।

নয় দুয়ার মসজিদ 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খইয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া এলাকায় ৪০০ বছরের পুরোনো ‘নয় দুয়ার মসজিদ’। মিরসরাইয়ের ইতিহাস লেখক আহমঞ্চদ মমতাজ জানান, ১৬১০ সালে মোগল আমলে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।

পরাগল খান মসজিদ ও দিঘি

পরাগল খান মসজিদ ও দিঘি পরাগলের দিঘি বাংলার স্বাধীন সুলতানি আমলে খননকৃত দিঘিসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দিঘি বলে বিবেচিত। এটি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার অন্তর্গত পরাগলপুর মৌজার মধ্যে অবস্থিত এবং এটি প্রাচীন নিদর্শনাদির মধ্যে কৌতূহলোদ্দীপক একটি নিদর্শন। পরাগলপুরে আলাউদ্দীন হোসেন শাহ এর সামরিক সেনাপতি পরাগল খান এর রাজনৈতিক সদর দফতর ছিল। দিঘিটি এখনও ব্যবহূত হচ্ছে এবং সুষ্ঠুভাবে এর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ২৯.৬০ একর জমির উপর খননকৃত এ দিঘির পরিমাপ দৈর্ঘ্যে ৪৩৭.৩৯ মিটার এবং প্রস্থে ২৭১.৫৮ মিটার।পরাগল খানের মসজিদটি বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। দিঘির পূর্বতীরের এক বিস্তৃত অংশ